Friday, October 12, 2007

অলস সময়, অলস ভাবনা

ঘুম নিয়ে আমার একটা বক্তব্য আছে। সেটা হল, the less you sleep, the more you get to enjoy. ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে আমরা কত সময়ই না নষ্ট করি। অল্প কয়েক বছরের ছোটখাট জীবন, তার তিন ভাগের এক ভাগ নাকি মানুষ ঘুমিয়ে কাটায়। এই পরিসংখ্যানটা অবশ্য আমার না, পেপারে পড়েছিলাম। কি অপচয়! সুতরাং সুস্থ থাকার জন্য যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু ঘুমালেই হল। মজার ব্যাপার হল ঘুম খুবই আকর্ষণীয় বস্তু। মাতাল ঘুমের মাঝখান থেকে ডেকে তুলে স্বর্গেও নেয়া যাবেনা। সবচেয়ে সুন্দর অনুভূতি হল তন্দ্রা, তীব্র ঘুম চেপে বসার আগের সময়টা। আর সেই সাথে যদি একটা রোমাঞ্চকর স্বপ্ন দেখে ফেলা যায় তাহলে তো ষোলআনা। অপচয়ের মাত্রা খানিকটা কমে আসবে।

ইউনিভার্সিটি প্রায় দুই মাস ধরে বন্ধ। এসময় যেই জিনিসটা সবচেয়ে ভাল শিখেছি তা হল ঘুম কত প্রকার ও কি কি। যেহেতু রুটিনমাফিক ক্লাসে যাওয়া আসা নেই তাই দিনের কাজকর্মে একটা জড়তা এসে গেছে। ছক এলোমেলো হয়ে গেছে। তার মধ্যে আবার রোজার দিন। দেরীতে ঘুমাই দেরীতে উঠি। আজকে দুপুরে এক বন্ধুর সঙ্গে বসে একটা ছবি দেখলাম। বেশ পুরানো। ব্যাক টু দ্য ফিউচার, ফার্স্ট পার্ট। হলিউদের ছবিজগতে বেশ পরিচিত নাম। মনে আছে এই ছবিটা আমি প্রথম দেখি ক্লাস সিক্সের শেষ দিকে, বা সেভেনের প্রথম হবে। বিটিভিতে মুভি অব দ্য উইক নামে একটা স্লট ছিল, এখন আছে কিনা আমি জানিনা। সেখানেই পরপর তিন সপ্তাহে তিনটা পার্ট দেখেছিলাম। এবার দেখে যতখানি বুঝেছি তখন এত বুঝিনি। তবুও খুব ভাল লেগেছিল। তারপর ক্লাসে গিয়ে আলোচনা। কি মজার একটা ছবি, নায়কটা কি কিউট। যত দূর মনে পড়ে একটা এরকম ভাবও এসেছিল, হ্যাঁ আমি ইংলিশ মুভি দেখি তো, বুঝি তো, না বোঝার কি আছে। হ্যাঁ যারা অভিনয় করে তাদেরকেও চিনি, যেমন, মাইকেল জে ফক্স। তার বেশ কিছু বছর পর জেনেছিলাম, মাইকেল জে ফক্সের কি যেন একটা কঠিন অসুখ হয়েছে, বেশিদিন বাঁচবে না। মন খারাপ লেগেছিল। আহা বাচ্চা বাচ্চা টাইপের লোকটা, মারাই যাবে এত তাড়াতাড়ি? পরে সম্ভবত তার অসুখটা সেরে গেছে। এখন কি সে অভিনয় করে? নাম তো শুনিনি অনেকদিন। ইন্টারনেট ঘেঁটে খুঁজে দেখা যেতে পারে।

আমাদের ছোটবেলায় একটাই টিভি চ্যানেল ছিল। অবশ্য সেই ছোটবেলা মিলিয়ে যাবার আগেই দেশে স্যাটেলাইট চলে আসে। অবাক লাগত। একসঙ্গে কয়েকটা চ্যানেল? মানে কয়েকরকম অনুষ্ঠান চলবে, দেখা যাবে যেটা খুশি? অনেকদিন পর্যন্ত এটা উচ্চবিত্ত পরিবারেই সীমাবদ্ধ ছিল। আমাদের জন্য ছিল বিটিভি। সেখানে অয়োময় (এই শব্দটার মানে এখনো জানা হয়ে ওঠেনি), কোথাও কেউ নেই, রূপনগর এমন আরও অনেক নাটক মনোযোগ দিয়ে দেখতাম আমরা, মানে সেই সময়কার বাচ্চারা। আমাদের বাসায় কম্পিউটার, টেলিফোন এসব তখন ছিল না। ডাকবিভাগের হলুদ রঙের সিল মারা খামে চিঠি আসত চাচাদের...ভাইয়া, পত্রে শতকোটি সালাম নিবেন, ভাবীকেও তদ্রূপ জানাবেন...তারপর দেশের বাড়ির নানা খবর। এখনও কি স্কুলের বইয়ে প্রিয় শখ লেখা হয় ডাকটিকেট সংগ্রহ? এখন নিশ্চয়ই ছোটরা শখ বদলে ফেলেছে। ফেলে দেয়া প্রিপেইড কার্ড বা পোকেমনের স্টিকার বরং যোগাড় করা সহজ। কিংবা সিরিয়াস ধরণের শিশুরা হয়ত ন্যাশনাল জিওগ্রাফি দেখে সময় কাটাতেই বেশি পছন্দ করে। যস্মিন যুগে যদাচার।

2 comments:

শিশিরবিন্দু said...

তোমার লেখা পড়ে আমার আর ব্লগ লিখতে ইচ্ছা করছে না! সুন্দর আর সাবলীল প্রকাশ ভঙ্গি।
বেশ ভাল লাগল।

Shahidul Mahfuz said...

'Sleep' works like defragmentation. When computer works for longer period , calculating on different logics, messing storage from here to there makes the computer to run slow. One of the reason is the files on the storage is scattered and it takes time to access those files. As a result, the system takes more time. To get better performance, we have to run the 'defragmentation' so that scattered ones come back to the position.

Ghum is just like that. When we sleep, our mind refreshes our cells - brains. So when we woke up on next day, we can perform our task with a fresh mind.