Thursday, October 11, 2007

ফেমিনিন+ইজম

নারীবাদ বলে একটা শব্দ আছে। ইংরেজিতে যেটা নাকি হচ্ছে ফেমিনিজম। অক্সফোর্ড ডিকশনারির মতে, ফেমিনিজম মানে নারীদের জন্য অধিকার দাবির পক্ষে মতবাদ। আমার মোটেও পছন্দ না এসব ঘোলাটে অর্থ। নারীর আবার আলাদা অধিকার কি? তার মানে কি মানুষের অধিকার বলে কিছু নেই? পুরুষ আর নারীর জন্য দুই রকম? আবার তা থেকে অন্যায়ভাবে বঞ্চিত হলে সেটার পুনরুদ্ধার নিয়ে যদি কেউ সোচ্চার হয়, তখন তাকে একটা বিশেষ মতবাদের অনুসারী বলে মানতে হবে? এসব পুরুষদের তৈরী নিশ্চয়ই।

আজকে এক বন্ধুর রেজাল্ট জেনে একটা কথা মনে পড়ল। ছেলেরা এমনটা প্রায়ই বলে থাকে, বিশেষ করে কোন পরীক্ষার রেজাল্টের পর যদি দেখা যায় তালিকায় মেয়েদের রেজাল্ট তুলনামূলকভাবে বেশি ভাল। সেটা হল, মেয়েরা সারাদিন ঘরে থাকে, বেশি পড়াশোনা করে, তাদের রেজাল্ট তাই ভাল হয়। আর তারা বাইরে থাকে, তাই এত পড়ালেখা করা হয়ে ওঠেনা। বড়ই হাস্যকর কথা। যেন ফলাফলের মধ্যে ছেলে আর মেয়ের আলাদা রাঙ্কিং একটা দরকারি বিষয়, যেন তাদেরকে একটা যুক্তি দেখাতে হবে কেন মেয়েরা তাদের চেয়ে ভাল করল এবং যেন তাদেরকে কেউ মাথার দিব্যি দিয়েছে, বাইরে বাইরে সময় কাটানোর জন্য। ঘরে থাকলেই পড়াশোনা হয়ে যায়, আর মেয়েরাও ঘরে বসে কেবল বই খাতার মাঝেই ডুবে থাকে। সে যাক, টিন এজারদের কত রকম কমপ্লেক্স থাকে। কিন্তু একদিন টিভিতে একই ধরণের একটা অনুষ্ঠান দেখে বিরক্তিবোধ হল। বেশ একটা নারী পুরুষ নিয়ে টক শো। ভাবলাম হয়ত ইন্টারেস্টিং কিছু হবে। কিন্তু হতাশ হতে হল। টিন এজ অনেক আগেই পেরিয়ে আসা তরুণ তরুণীরা সেই একই কাসুন্দি ঘাঁটতে ব্যস্ত। ছেলেরা আগোছালো, তারা টাকা পয়সার হিসাব গুলিয়ে ফেলে, মেয়েরা সাজতে বেশি সময় নেয়, তারা শপিং করতে গেলে সারাদিন লাগিয়ে দেয় এইসব নিয়ে তর্ক পাল্টা তর্ক। ওই বন্ধু পরীক্ষায় ফার্স্ট হয়েছে। ভাবছি তাকে জিজ্ঞেস করতে হবে সে বাইরে ব্যস্ত না হয়ে বেশি বেশি বাসায় থাকতো কিনা।

1 comment:

মুক্তপাখি said...

এই ভাবে পুরুষদের না পচাইলে কি হয়না?