Thursday, January 3, 2008

যাঁতাকল

আমার মাথার ভেতর ইদানিং কিছু গুরুগম্ভীর বিষয় হররোজ আকুলি বিকুলি করে। নিজের সিলেবাসকে খুব ভারিক্কি দেখানোর জন্য বিষয়গুলোর নামও উল্লেখ করতে পারি, maturation theory, acculturation model, process writing, deviation and foregrounding ইত্যাদি। একথা মনে করার কোন কারণ নেই যে এসব নিতান্ত বেরসিক কথাবার্তার প্রতি আমার রাতারাতি দূর্মূল্য ভালবাসা গজিয়ে গেছে। এগুলো মনে পড়ে যায় কারণ ফাইনাল পরীক্ষা আমাকে লক্ষ্য করে সিডরের গতিতে ধেয়ে আসছে। আমি ভাবি আর নাড়ির অন্তঃস্থল থেকে দীর্ঘশ্বাস ফেলি, “হায়, আমার কি হবে!” তবে শ্বাস ফেলাই সার। বইগুলো যেন বিজাতীয় ভাষায় লেখা কোন প্রাচীন পুস্তক যাদের কেবল শেলফেই মানায়, টেবিলে রেখে পড়ার চেষ্টা করা একেবারেই নিষ্ফল। হৃদয়ের নিভৃত মণিকোঠা থেকে স্কুলের স্মৃতিগুলো চোখের সামনে এসে যেন তুর্কিনাচন দিয়ে যায়। “আহা, কোথায় সেই মজার মজার বইগুলো!” সেই চাঁছাছোলা ‘সালফার উৎপাদনের প্রকোষ্ঠ প্রণালী’কে এসব তেতো প্রশ্নের তুলনায় রীতিমত মণ্ডামিঠাই মনে হয়। হাতের তালু চুলকাতে থাকে একটু অংক করার জন্য। ছোটবেলায় আমরা কত দরকারি পড়াশোনাই না করেছি। সেখানে বাংলা ইংরেজি যেমন ছিল, জীববিজ্ঞান ইতিহাস এসবও ছিল। বর্তমান যুগে সব বিষয়েই সম্যক ধারণা থাকা যে অতীব জরুরী এটা কি কেউ বোঝে না? তবে কেন অনার্সে উঠে একটা বিশেষ সাবজেক্টকেই ঢেঁকিতে ছাঁটতে হয়? চোখের সামনে বই খুলে সিলিংয়ের দিকে চেয়ে জাতির বিবেকের কাছে এসব প্রশ্ন করে বেড়াই। আর ছাপার অক্ষরের Trudgill Labov রা উঠে এসে আমার এক তোলা পরিমাণ মগজকে রগড়াতে থাকে। এভাবেই চলছে।

1 comment:

blue-spark said...

ha ha ha
apni to khub moja kore likhen :D