Sunday, September 27, 2009

পতঙ্গের বুকে আমরা

একটা রক্তশোষা ছোট্ট পতঙ্গ। উড়তে উড়তে ঠিক আমার গালের উপর এসে বসল। কখন যেন এক বিন্দু রক্ত খেয়েও নিল। টের পেলাম উড়ে যাবার পর। উড়ে গিয়ে বোকা পোকাটা বসল আবার তোমার সটান করে রাখা হাতে। আমি চেয়ে আছি। সে টেনে নিল আরও একটা ফোঁটা। এবার সে একটু ক্লান্ত বোধ হয়। হেলে দুলে নড়ে চড়ে চলে যাচ্ছে রকমারি ভোজটা শেষ করে। তুমি যেন একটু সতর্ক হয়ে উঠলে। ওকে পিষে মারতে চাও নাকি? আমাদের ব্যথা দিয়েছে বলে রেগে গেলে ওর উপর? কি হয়? কত ছোট্ট একটা প্রাণী। বেচারার খাবার বলতে আমাদের মত মানুষদের দুই এক ফোঁটা রক্তই তো। তুমি পারো চাইলেই, কিন্তু আমার ইচ্ছে হচ্ছে না তুমি ওকে মারো। এক আঘাতে তিন তিনটা প্রাণ কেড়ে নেয়া কি সাজে? অবাক হচ্ছো? বুঝলে না? এই দেখ ওর মাঝে ওর নিজের প্রাণ ছাড়াও আছে আমার রক্ত, তোমার রক্ত; যেন আমার একটু প্রাণ আর তোমার একটু প্রাণ। এই কাঠখোট্টা পৃথিবী, সমাজ সংসার গুরুজন বা বন্ধু, কেউই তোমাকে আর আমাকে এক হয়ে পাশাপাশি বাঁচতে দিচ্ছে না, দিবে না। তোমার বুঝি কখনও কষ্ট হয় না? দেখ না কেমন করে এই নগণ্য পতঙ্গটা আমাদের মিলিয়ে এক করে দিল ওর নিজের মধ্যে। এভাবেই নাহয় কিছুটা সময় আমরা খুব কাছাকাছি রইলাম! আমাকে, তোমাকে আর আমাদের একীভূত হবার অদম্য ইচ্ছেটাকে ও কেমন করে ওর বুকে বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে। এটুকু দোষ করলে কি কাউকে পাপী বলা যায়?

... ... ...

কবিতার মধ্যে একটা স্বল্পবুদ্ধির মাথার বোধগম্য গল্প না থাকলে পড়তে ভাল লাগে না। আর ইংরেজি কবিতা? সে তো আরও দূর্গম পথ। উপরের অংশটুকু John Donne এর লেখা The Flea কবিতাটার একটা মোটামুটি ভাবার্থ। মনে ধরেছিল খুব। কিছু মানুষ কেমন করে যেন কারো না কারো ভাবনার কথা, স্বপ্নের কথা বলে দেয়। হয়ত খুব অন্যরকমভাবে, যেমনটা আমরা নিজেরা কখনও ভাবিনি। তবুও সত্যি হয়ে মিলে যায়।

4 comments:

blue-spark said...

Liked it.

শুকতারা said...

thank u. :-)

রাফি said...

ইংরেজি কবিতা মাথায় ধরে না; হয়ত ভাষাটাতে তেমন দখল নেই বলেই। হাতে গোণা কয়েকটা কবিতা ছাড়া অবশ্য পড়িওনি তেমন একটা।

ভাবানুবাদটা ভাল লাগল। এরকম নিয়মিত পড়তে পারলে বেশ হত।
অপেক্ষায় রইলাম.

শুকতারা said...

ধন্যবাদ রাফি। আমিও আসলে বুঝিনা ভাল। সিলেবাসে ছিল তাই পড়া হয়েছে। ভাল লাগা আরও কবিতা পেলে শোনানোর ইচ্ছা রাখি আমিও।