“মেঘ গুড়গুড় মেঘলা দিনে ময়ূর ডাকে কেকা
সবাই লুকায় ঘরের কোণে ময়ূর নাচে একা”
‘আমার বই’ প্রথম ভাগের কবিতা। আজকে বিকালে হঠাৎ করে কেমন মেঘলা হয়ে গেল প্রকৃতি! আমি পরম সুখে দিবানিদ্রা দিচ্ছিলাম। চোখ খুলে গেল আপনাআপনি। দেখি আঁধার ঘনিয়ে এসেছে। একটু আধটু গুড়ূম গুড়ুম ধ্বনিও। তখনই মনে পড়ল কবিতাটা। আমি ময়ূর হলে পেখম ছড়িয়ে নৃত্য জুড়ে দিতাম। তবে সেটা বড়ই সময়সাপেক্ষ। প্রথমে মানুষের বেশভূষা ছাড়তে হবে, তারপর পাখিসাম্রাজ্যে কড়া নাড়তে হবে, অতঃপর ক্যাটালগ দেখে ময়ূরজাতি বেছে নিতে হবে এবং সবশেষে পুরুষ হওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। এতসব করে যখন রেডি হয়ে বেরিয়ে আসব ততক্ষণে মেঘ হয়ে যাবে উধাও। তাই সেই চিন্তা বাদ দিয়ে আমি ব্যাপারটা পর্যবেক্ষণ করার জন্য জানালায় উঁকিঝুঁকি মারলাম। মজার ব্যাপার হল আজকের মেঘের রংটা একটু বিচিত্র। ধূসর নীল না হয়ে বরং নীলচে ধূসর। দু’টো বিল্ডিংএর মাঝ দিয়ে যেই একটুখানি আকাশ দেখা যায় সেটা যেন চোখে পড়ল না। ছাইভস্মমাখা এমনই অদ্ভূত রং যে আমার মাইয়োপিক চক্ষু ধোঁকা খেয়ে গেছে। কয়েকটা ফোঁটা পড়েছে। এখনো বিকাল মিলিয়ে যায়নি। ভাবছি আবার শৈত্যপ্রবাহ নেমে আসবে কিনা। ওঝার বাণের তোড়ে অতিষ্ঠ হয়ে শরীর ছেড়ে পালানোর সময় শাঁকচুন্নি যেমন আমগাছের ডালটা ভেঙ্গে দিয়ে যায় তেমন যাবার কালে শীতবাবাও কিছু দেখিয়ে যাবে ভাবছে নাকি? এটা কেমন কথা হল! নেচে গেয়ে বসন্তবরণ হল, পৌষমাঘের পাট চুকিয়ে দিলাম, ঠাণ্ডার বাক্সপেটরা গুছিয়ে এনেছি প্রায়, এখন এসব মোটেও ভাল লাগছে না কিন্তু।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
2 comments:
সবই ত বুঝলাম। কিন্তু ময়ুর হতে হলে পুরুষ হতে হবে কেন সেটাই বোধগম্য হলোনা..
কারণ ময়ূররাই পেখম মেলে নৃত্য করে। ময়ূরীরা এই কাজটা করে না। ধন্যবাদ।
Post a Comment